একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স (Driving License) হল একটি সরকারি নথি যা একজন ব্যক্তিকে মোটরগাড়ি (যেমন মোটরসাইকেল, গাড়ি, ট্রাক, বাস ইত্যাদি) চালানোর আইনি অনুমতি প্রদান করে। এটি নিশ্চিত করে যে ব্যক্তিটি গাড়ি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন এবং ট্রাফিক নিয়মাবলী সম্পর্কে অবগত আছেন।
আজকে এই পোস্ট থেকে আপনারা জানতে পারবেন, যে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করতে গেলে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে ও কতদিন সময় লাগবে ইত্যাদি।
১) তাহলে এখন জেনে নেওয়া যাক ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করতে গেলে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে?
মনে রাখতে হবে বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স ২টি পদ্ধতিতে রিনিউ করা যেতে পারে।
ক) আপনার আধার কার্ডের সাথে যদি সচল ফোন নাম্বার লিংক করা থাকে তবে আলাদা করে কোনো ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে না।
খ) এছাড়া আপনি ডকুমেন্ট আপলোড করে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করতে পারেন।
যদি আপনি ডকুমেন্ট আপলোড করতে চান তবে
ক) ঠিকানার প্রমাণ হিসাবে- পাসপোর্ট/ নোটারী দ্বারা করা আফিডেফিড/ ভোটার কার্ড/ LIC পলিসির স্টেটমেন্ট/ কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার দ্বারা দেওয়া কোনো ফটো আইডি/ কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার দ্বারা দেওয়া পেস্লিপ/ আধার কার্ড (জন্ম তারিখ পুরো থাকতে হবে)/ সরকার দ্বারা দেওয়া অস্ত্র লাইসেন্স
খ) পুরানো ড্রাইভিং লাইসেন্স
গ) সাম্প্রতিক রঙিন পাসপোর্ট ছবি
ঘ) আবেদনকারীর সই
২) এবার জেনে নিন ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করতে গেলে কত টাকা খরচ হতে পারে?
জুন ২০২৫ অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের খরচ নিচে দেওয়া হলো:
সাধারণ নবায়নের ফি: ₹২০০ টাকা।
গ্রেস পিরিয়ডের (মেয়াদ উত্তীর্ণের ৩০ দিন পর) পর নবায়ন: ₹৩০০ টাকা।
গ্রেস পিরিয়ডের পরেও প্রতি বছর দেরির জন্য অতিরিক্ত জরিমানা: প্রতি বছর ₹১০০০ টাকা।
স্মার্ট কার্ডের জন্য অতিরিক্ত চার্জ (ঐচ্ছিক): ₹২০০ টাকা (যদি স্মার্ট কার্ড নিতে চান)।
ঠিকানা বা অন্যান্য বিবরণ পরিবর্তনের জন্য: ₹২০০ টাকা (যদি নবায়নের সময় ঠিকানা বা অন্য কোনো বিবরণ পরিবর্তন করতে চান)।
মনে রাখবেন, এই ফিগুলি পরিবহন বিভাগ দ্বারা নির্ধারিত হয় এবং সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। সাথে এটিও মনে রাখবেন উপরে উল্লিখিত খরচ সাথে সাইবার ক্যাফের পরিষেবার খরচ আলাদা করে দিতে হবে।
৩) এবার জেনে নিন ড্রাইভিং লাইসেন্স আপনার বাড়ীতে আসতে কত সময় লাগতে পারে?
পশ্চিমবঙ্গে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের পর নতুন লাইসেন্স পেতে সাধারণত কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, এটি ৭ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে হতে পারে, যা RTO-এর কাজের চাপ এবং প্রক্রিয়াকরণের গতির উপর নির্ভর করে।
কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, অনলাইন আবেদন এবং ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের পর স্মার্ট কার্ডটি আপনার রেজিস্টার্ড ঠিকানায় স্পিড পোস্টের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়। তবে স্মার্ট কার্ড পৌঁছাতে কিছুটা বেশি সময় লাগে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে?
সবশেষে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যা আপনার জেনে রাখা অবশই দরকার
১) ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করতে গেলে আপনাকে আপনার RTO তে গিয়ে ড্রাইভিং পরীক্ষা দিতে হবে।
২) রিনিউয়ালএর আবেদনের সময় আপনি আপনার স্লট (দিন ও সময়) নিজের ইচ্ছামত পছন্দ করে নিতে পারবেন।
৩) স্লটে উল্লিখিত সময়ের কমপক্ষে ১৫- ২০ মিনিট আগে সেখানে উপস্থিত হয়ে যাবেন।
৪) পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় অনলাইনে আবেদনের ফর্ম, মেডিক্যাল ফর্ম, ফিস জমা দেওয়ার স্লিপ, উপরে উল্লিখিত ডকুমেন্টের জেরক্স কপি ও সাথে তাদের অরিজিনাল কপিও সাথে নিয়ে যেতে হবে।
বিঃ দ্রঃ- Learner License পরীক্ষা পাশ করার জন্য আমাদের কাছে অতন্ত্য কম দামে একটি বই পাওয়া যাচ্ছে "১ দিনেই RTO পাশ"। আমরা সকলের কথা চিন্তা করে বইটিকে সম্পূর্ণ বাংলায় তৈরি করেছি। আমরা আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা ও আত্মবিশ্বাস থেকে বলতে পারি, আপনি যদি মাত্র ১ দিন সম্পূর্ণ মন দিয়ে এই বইটি পড়েন, তবে আপনি নিশ্চিত Learner পরীক্ষায় পাশ করবেন। বইটি প্রয়োজন হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন বা সরাসরি আমাদের সাইবার ক্যাফে থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
এছাড়াও অন্য কোনো বিষয় জানতে আমাদের WhatsApp করুন 👉 ক্লিক করুন
প্রতিদিন আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের সাইবার ক্যাফের সাথে যুক্ত হতে ক্লিক করুন
আরও আপডেট পেতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- ক্লিক করুন