সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার জন্য ঋণের আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে? | WBMDFC Minority Education Loan

পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষা এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষার জন্য সরকার বিভিন্ন ঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। এই ঋণ প্রকল্পগুলি মূলত সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও অর্থ নিগমের (WBMDFC) মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

শিক্ষা ঋণের জন্য কারা আবেদন করতে পারবে?

১) প্রার্থীকে অবশ্যই শেষ পরীক্ষায় কমপক্ষে ৭০% নম্বর (ভারতে পড়াশোনার জন্য ঋণ) এবং ৭৫% নম্বর (ভারতের বাইরে পড়াশোনার জন্য ঋণ) পেতে হবে। 

২) আবেদনের বছরের ১লা জানুয়ারী তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৬ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে। 

৩) গ্রামীণ এবং শহরাঞ্চল উভয় ক্ষেত্রেই বার্ষিক পারিবারিক আয় ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে হবে।

একজন শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ কত টাকা শিক্ষা ঋণ হিসেবে মঞ্জুর করা যেতে পারে?

প্রতি বছর সর্বোচ্চ ৪ লক্ষ টাকা এবং সম্পূর্ণ কোর্সের জন্য (দেশীয়) ২০ লক্ষ টাকা এবং এক বছরে সর্বোচ্চ ৬ লক্ষ টাকা এবং সম্পূর্ণ কোর্সের জন্য (বিদেশে) ৩০ লক্ষ টাকা।

শিক্ষা ঋণের জন্য নতুন আবেদনের জন্য কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন?

১) মাধ্যমিক/দশম পরীক্ষার এডমিট

২) শেষ পরীক্ষার রেজাল্ট

৩) প্রধান/কাউন্সেলর/সভাধিপতি/যেকোনো গেজেটেড অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত পারিবারিক ইনকাম সার্টিফিকেট।

৪) বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফি কাঠামো।

৫) ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রদত্ত চলতি বছরের বোনাফায়েড সার্টিফিকেট

৬) অভিভাবক এবং প্রার্থীর পরিচয়পত্র।

৭) প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য র‍্যাঙ্ক কার্ড (যদি থাকে)।

৮) পিতামাতার সাথে জয়েন্ট ব্যাংক পাস বইয়ের কপি (বাবা থাকলেই ভালো), ছবি সহ।

৯) ভবিষ্যতে ঋণ পরিশোধের জন্য জয়েন্ট ব্যাংক পাস বইয়ের কপি এবং যৌথ অ্যাকাউন্টধারীদের স্বাক্ষর সহ ২২টি ফাঁকা চেক/NACH জমা দিতে হবে।

গ্যারান্টারের জন্য কী কী শর্তাবলী প্রযোজ্য?

একজন গ্যারান্টার যিনি কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকার, অথবা আধা-কেন্দ্রীয়, অথবা রাজ্য সরকারী কর্পোরেশন বা সংস্থার বেতনভুক্ত কর্মচারী হতে হবে। গ্যারান্টারের সর্বোচ্চ অনুমোদিত বয়সসীমা ৫৪ বছর।

রিনুয়ালের জন্য শিক্ষা ঋণের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?

শিক্ষা ঋণের রিনুয়ালের আবেদন কর্পোরেশনের সাথে যোগাযোগ করে অফলাইন মোডে করতে হবে।

শিক্ষা ঋণের রিনুয়ালের আবেদনের জন্য কী কী নথি প্রয়োজন?

১) অনুমোদিত চিঠির জেরক্স কপি

২) চলতি বছরের বোনাফায়েড সার্টিফিকেট।

৩) বিগত বছরের মার্কশিটের কপি (শেষ সেমিস্টার)।

৪) রিনুয়ালের পরিমাণ প্রকাশের জন্য কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে আবেদন।

৫) ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পাস বইয়ের কপি।

শিক্ষা ঋণের পরিশোধ পদ্ধতি কী?

পরিশোধের জন্য প্রার্থীর কাছ থেকে মোট ২২টি পিডিসি নেওয়া হয়। কোর্স শেষ হওয়ার ছয় মাস পর অথবা কোনও লাভজনক চাকরি পাওয়ার পর, যেটি আগে হবে, এই পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু হবে। পিডিসি ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানোর আগে প্রার্থীকে অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত তহবিল রাখতে হবে। চেক প্রত্যাখ্যাত হলে প্রার্থীর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হবে। চেকগুলি ত্রৈমাসিকভাবে (প্রতি তিন মাস অন্তর) পাঠানো হবে।

এছাড়াও অন্য কোনো বিষয় জানতে আমাদের WhatsApp করুন 👉 ক্লিক করুন

প্রতিদিন আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের সাইবার ক্যাফের সাথে যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আরও আপডেট পেতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- ক্লিক করুন